খুদ্দক পাঠ
সরণাগমনং
বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি। ধম্মং সরণং গচ্ছামি। সঙ্ঘং সরণং গচ্ছামি।
দুতিযম্পি বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি। দুতিযম্পি ধম্মং সরণং গচ্ছামি। দুতিযম্পি সঙ্ঘং সরণং গচ্ছামি।
ততিযম্পি বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি।
ততিযাম্পি ধম্মং সরণং গচ্ছামি। ততিযম্পি সঙ্ঘং সরণং গচ্ছামি।
বুদ্ধ, ধর্ম ও সঙ্ঘের শরণ নেওয়াকে ত্রিশরণ বলে। এ শরণে যাওয়াই হল শরণাগমন। ত্রিশরণের আশ্রয়কে শরণগমন বলে। প্রতিটি বৌদ্ধের জন্য এ তিনটি শ্রেষ্ঠ শরণ বা শ্রেষ্ঠ আশ্রয়। ত্রিশরণ বৌদ্ধধর্মে প্রবেশের প্রথম সোপান। এ শরণ প্রকৃষ্ট শরণ। কারণ এ শরণে প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষ সমস্ত ভয় এবং ভবদুঃখের অবসান করতে সক্ষম হয়। যে ব্যক্তি ত্রিশরণের অর্থ হৃদয়ঙ্গম করে মনে প্রাণে ইহা গ্রহণ করেন তিনিই বুদ্ধের ভক্ত হন। ভগবান প্রথমে ত্রিশরণ গ্রহণ করে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন ভিক্ষুসঙ্ঘকে। অতএব, শরণাগমনের গুরুত্ব অপরিসীম।
ভূমিকা
মঙ্গল সুভং
অতীতকালে জম্বুদ্বীপের সর্বত্র এমন কি সভাগৃহেও মঙ্গল সম্বন্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল। মঙ্গল কি? দর্শনে, শ্রবণে না ঘ্রাণে মঙ্গল ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় এসেছিল। কেউ বলেন, যদি প্রত্যুষে উঠে পূর্ণকলসী, রোহিত মৎস্য, গর্ভিণী গাভী ইত্যাদি দেখে তবে তার মঙ্গল হয়। কেউ বলেন যদি প্রত্যুষে উঠে পুষ্পের গন্ধ পায়, মাটি স্পর্শ করে, হরিদবর্ণ শস্য স্পর্শ করে তবেই মঙ্গল হয়।
এভাবে চিন্তা ও বিতর্ক করতে করতে বারো বছর অতিবাহিত হল কিন্তু প্রকৃত মঙ্গল কিসে হয় তা নির্ণয় করা গেল না। অতঃপর সবাই দেবরাজ ইন্দ্রের নিকট উপস্থিত হয়ে প্রকৃত মঞ্চঙ্গল কিসে হয় তা জানানোর জন্য তাঁকে অনুরোধ করলেন। দেবরাজ ইন্দ্র জিজ্ঞেস করলেন-তোমরা ভগবান বুদ্ধের কাছে মঞ্চঙ্গল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছ কিনা? সকলে উত্তর দিলেন- না, প্রভু করিনি। দেবরাজ ইন্দ্র বললেন- তোমরা তাঁকে জিজ্ঞেস না করে আমাকে উপযুক্ত মনে করে ভুল করছ। তোমরা অগ্নিকে অগ্নি মনে না করে জোনাকীকে অগ্নি মনে করেছ। চল, আমরা সকলে গিয়ে জগতের মঙ্গলদাতা বুদ্ধের নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি।
দেবরাজ ইন্দ্র নির্দেশ দিলেন, একজন দেবপুত্র যেন বুদ্ধের নিকট উপস্থিত হয়ে প্রকৃত মঙ্গল কি সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। ইন্দ্রের নির্দেশ অনুসারেই দেবপুত্র বুদ্ধের নিকট উপস্থিত হয়ে যথাযথ বন্দনাপূর্বক মঙ্গল প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন। বুদ্ধ সে সময়ে শ্রাবস্তীতে অনাথপিণ্ডিক নির্মিত জেতবন বিহারে অবস্থান করছিলেন। ভগবান বুদধ মানবের হিতের জন্য আটত্রিশ প্রকার মঙ্গল বিষয় ব্যাথা করলেন।
निमानद
যং মঞ্চালং দ্বাদসহি চিন্তযিংসু সদেবকা
সোথানং নাধিগচ্ছস্তি অট্ঠতিংসঞ্চ মঞ্চালং;
দেসিতং দেব-দেবেন সর্বপাপ বিনাসনং,
সব্বলোক হিতথায় মঙ্গলং তং ভণামহে।
এবম্মে সুতং-এবং সময়ং ভগবা সাবপ্রিযং বিহরতি জেতবনে অনাথপিণ্ডিকস আরামে।
অথ থো অঞতরা দেবতা অভিস্তায় রস্তিযা অভিনন্তবন্না কেবলকপ্পং জেতবনং ওভাসেত্বা যেন ভগবা তেনুপসঙ্কমি উপসঙ্কমিত্বা ভগবন্তং অভিবাদেত্বা একমন্তং অঠাসি।
একমন্তং ঠিতা খো সা দেবতা ভগবন্তং গাথা
বহুদেবা মনুস চ মঙ্গলানি অচিন্তং । আকঙ্খমানা সোথানং, রুহি মঙ্গলমুত্তমং।
অসেবনা চ বালানং, পণ্ডিতানং চ সেবনা, পূজা চ পূজনীযানং, এতং মঙ্গলমুত্তমং।
পতিরূপদেসবাসো চ, পুব্বে চ, কতপুঞঞতা, অন্তসম্মপণিধি চ, এতং মঙ্গলমুত্তমং। বহুস সিরঞ্চ বিনযো চ সুসিক্খিতো,
সুভাসিতা চ যা বাচা, এতং মঙ্গলমুত্তমং।মাতাপিতৃ উপট্ঠানং, পুত্তদারস সাহো,
অনাকুলা চ কৰ্ম্মন্তা,এভং মঙ্গলমুত্তমং।
দানঞ্চ ধম্মচরিযা চ ঞাতকানঞ্চ সাহো,
অনবজ্ঞানি কম্মানি, এতং মঙ্গলমুত্তমং।
অরতি বিরতি পাপা, মজ্জপান চ সঞমো
অপমাদো চ ধৰ্ম্মেসু, এবং মঙ্গলমুত্তমং।
গারবো চ নিবাতো চ সন্তুরী চ কতত
কালেন ধম্মবর্ণং, এতং মঙ্গলমুত্তমং।
খস্তী চ সোবচসতা, সমপানঞ্চ দসন, কালেন ধম্মসাকচ্ছা, এতং মঙ্গলমুত্তমং।
তপো চ ব্রহ্মচরিযফ, অরিসজ্ঞান সনং,
নিব্বানং সচ্ছিকিরিযা চ, এতং মঙ্গলমুত্তমং।
১১। ফুঠস লোকধম্মেহি চিত্তং যস ন কম্পতি, অসোকং বিরজং থেমং, এতং মঙ্গলমুত্তমং।
১২। এতাদিসানি কড়ান সমপরাজিতা,
সববথ সোথিং গচ্ছন্তি, তং তেসং মঙ্গলমুত্তমস্তি।
শব্দার্থ
আকঙ্খমনা - আগ্রহী; অথসম্মাপণিধি - সম্যকরূপে আত্ম প্রণিধান; উপষ্ঠানং-সেবা; অনুকুলা চ কৰ্ম্মস্তা - সৎভাবে জীবিকার্জন, অরতি - অনাসক্তি, সঞঞমো সংযম, গারবো- গৌরব; ফুস-পৃষ্ট, লোকধৰ্ম্ম - লোকধর্ম অর্থাৎ লাভ অলাভ, যশ- অযশ, নিন্দা প্রশংসা, সুখ দুঃখ এই আট প্রকার বিষয়কে লোকধর্ম বলে; সচ্চিকিরি - উপলব্ধি।
ভগবান বুদ্ধ ৩৮টি মঞ্চালের কথা বর্ণনাপূর্বক প্রকৃত মঙ্গল কি তা এ সূত্রে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি এ ব্যাখ্যা যারা দেব-মনুষ্যের মন থেকে সংশয় অপনোদন করেছেন। বৌদ্ধধর্ম মতে মূর্খলোকের সেবা না করা, জ্ঞানীর সেবা করা, পূজনীয়দের পূজা করা, প্রতিরূপ দেশে বাস করা, পূর্বকৃত পুণ্যের স্মরণ, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, নিজেকে সঠিকভাবে জানা, বহু বিষয়ে জ্ঞানলাভ, বহু শিল্প শিক্ষালাভ করা, বিনয়ী ও শিক্ষিত হওয়া, সুবাক্য বলা, মাতাপিতার সেবা, সত্রী পুত্র রক্ষা করা, সৎকর্ম করা, দান দেয়া, ধর্মাচরণ করা, জ্ঞাতিগণকে সাহায্য করা, নিষ্পাপ কর্ম করা, গৌরবনীয় ব্যক্তির গৌরব করা, প্রাপ্ত বিষয়ে সুখী থাকা, উপকারীর উপকার স্বীকার করা, ধৈর্য্যশীল হওয়া, ক্ষমাশীল হওয়া, শ্রমণদের দর্শন, নির্বাণ সাক্ষাৎ করা, লোকধর্মের দ্বারা বিচলিত না হওয়া, শোকহীন হওয়া, লোভ, দ্বেষ, মোহ থেকে মুক্ত থাকা ইত্যাদি বিষয়কে প্রকৃত মঙ্গল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মানুষ যদি বুদ্ধ নির্দেশিত পথে নিজেদের পরিচালিত করে তবে তাতেই তাদের মঙ্গল হয়।রতন সুত্তং
ভগবান বুদ্ধের জীবদ্দশায় বৈশালীতে ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। এত অধিক মানষের মৃত্যু হল যে, সৎকার করাও দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াল। মৃতদেহ পঁচে দুর্গন্ধ বের হল, রোগের উৎপত্তি হল, ভূত প্রেতের উপদ্রব হল। প্রজারা মনে করল রাজা অধার্মিক তাই রাজ্যে এ দুঃখ নেমে এসেছে। রাজা তার বিচার করার জন্য প্রজাদের আহ্বান জানালেন। এক সময় বিচারও হল কিন্তু বিচারে রাজার কোন দোষ দেখা গেল না।
অতঃপর সকলে ভাবলেন বৃদ্ধ মহাপ্রভাবশালী। তিনি মানবের হিতের জন্য উপদেশ দিয়ে থাকেন। তিনি যদি
বৈশালীতে আগমন করেন তবে অমঙ্গল দূরীভূত হবে।
বুদ্ধ তখন রাজগৃহে অবস্থান করছিলেন। তাঁকে আনার জন্য দুজন লিচ্ছবি কুমার সেখানে উপস্থিত হন এবং বৈশালীতে আগমনপূর্বক অমঙ্গল ও ভয় দুরীভূত করার জন্য তাঁকে অনুরোধ করলেন। বুদ্ধ নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং বৈশালীতে আগমন করেন। তাঁর আগমনের সাথে সাথেই বৈশালীতে প্রবল বৃষ্টি হয়। এতে মৃতদেহ ভেসে যায়, দুর্গন্ধ দূরীভূত হয়; প্রেত ও পিশাচ অন্তর্হিত হয়। ভগবান আনন্দ স্থবিরকে তখন রতন সূত্র আবৃত্তি করার নির্দেশ দেন। আনন্দ স্থবির রতনসূত্র আবৃত্তি করতে করতে ভগবানের ব্যবহৃত পাত্র থেকে জল নিয়ে চারদিকে ছিটিয়ে দেন। এতে রাজ্যে শাস্তি ও যস্তি আসে। রোগ, ভয় ও দুর্ভিক্ষ তিরোহিত হয়।
निमांन
পণিধানতো পঠায় তথাগতস্স দস পারমিযো দস উপপারমিযো দস পরমাথ পারমিযো, সমতিংস পারমিতো; পঞ্চ মহা মহাপরিচ্চগে লোকথচরিযং প্রাতথচরিযং বুদ্ধচরিয়ত্তি, ভিস চরিযাখো পশ্চিমভবে গবেভাণ্ডিং জাতিং অভিনিঙ্খমনং পধানচরিযং বোধিপলঙ্কে মারবিজয়ং সক্তৃতা জ্ঞাণপটিবেধং নব লোকত্তর ধম্মেত্তি সৰ্ব্বেপি মে বু্যগুণে আবজিতা বেসালিযা ভিসু পাকান্তরে তিষামবৃত্তিং পরিত্তং করোস্তো আযমা আনন্দ ঘের বিয কারঞঞচিত্তং উপঠাপড়া-
কোটিসত সহস্রসেসু চক্কবাদেসু দেবতা,
যসানম্পটিগ্গগৃহস্তি যঞ্চ বেসালিযা পুরে,
রোগামনুস দুবৃত্তিদ্ধা সম্মুততিবিধং ভয়ং
খিল্পমন্তরধাপেসি পরিত্তং তং ভগামহে।
সুত্তং
যানীধ ভুতানি সমাগতানি ভূম্মানি বা যানি ৰ অগুলি খে সৰে ভূতা সুমনা ভবস্তু অথোপি সৰ্ব্বচ্চ সুণস্তু ভাসিতং।তমাহি ভূতা নিসামেথ সে মেত্তং করোথ মানুসিযা পজায়, দিবা চরত্তো চ হরন্তি যে বলিং তমাহি নে রক্ষথ অপূপমত্তা। যং কিঞ্চি বিত্তং ইধ বা হুরং বা সগৃগেসু বা যং রতন, পণীতং ম নো সমং অথি তথাগতেন ইদম্পি বুদ্ধে রতনং পণীতং, এতেন সচ্চেন সুবধি হেতু। এবং বিরাগ অমতং পণীতং যদকপা সকামুনী সমাহিতো, ন তেন ধম্মেন সমথি কিঞ্চি ইদম্পি ধৰ্ম্মে রতনং পণীতং, এতেন সচ্ছেন সুবধি হেতু। যং বুদ্ধসেঠো পরিবপ্লবী সুচিং সমাধিমানন্তরিকঞঞমা. সমাধিনা তেন সমো ন বিষ্পতি ইদম্পি ধম্মে রতনং পণীতিং, এতেন সচ্চেন সুৰখি হোতু। যে পুগ্গলা অসতং পসখা চণ্ডারি এতানি যুগানি হোস্তি। তে দক্ষিণেয্যা সুগতাস সাকা এতে দিনানি মহপলানি। ইদম্পি সঙ্গে রতনং পণীতং, এতেন সচ্ছেন সুবধি হোতু। যে সুপপযুক্তা মনসা দহেন লম্বা মুদা নিশ্ৰুতিং ভুঞ্জমানা।
91
নিজামিনো গোতম সাসনমূহি, তে পতিপত্তা অমতং বিগৃহ
ইদম্পি সঙ্গে রতনং পণীতং,
এতেন সচ্চেন সুবধি হেতু। যখীন্দখীলো পঠবিং সিতো সিয়া যো অরিযসচ্চানি অবেচ্চ পসতি। ইদম্পি সঙ্গে রতনং পণীতং, এতেন সচ্ছেন সুবস্থি হোতু।
চতুবৃত্তি বাতেভি অসম্পকম্পিযো তনুপমং সপ্নপুরিসং বদামিযে অরিযসচ্চানি বিভাবস্তিগম্ভীর পঞোন সুদেসিতানিং, কিঞ্চাপি তে হোস্তি ভূসম্পমত্তা ন তে ভবং অষ্ঠমং আদিযস্তি।
ইদম্পি সঙ্ঘে রতনং পণীতং, এতেন সচ্ছেন সুবথি হোতু।
সহাবস দসসনসম্পদায় তযস্সু ধম্মা জহিতা ভবস্তি, সক্কা দিঠি বিচিকিচ্ছি তঞ্চ সীলতং বাপি যদখি কিঞ্চি ।
চতুহ পাযেহিচ বিপমুত্তো ছ চাভিট্ঠানানি অভবো কাতুং,
ইদম্পি সঙ্ঘে রতনং পণতিং,এতেন সচ্ছেন সুবথি হোতু।
কিঞ্চাপি সো কম্মং করোতি পাপকা কাযেন বাচায়ুদ চেসা বা, অভব্বো সো তস পটিচ্ছদায অভতা দিট্ঠপদস বুঝা ইদম্পি সঙ্গে রতনং পণীতং, এতেন সচ্চেন সুৰখি হোতু। বনপূপগুদ্ধে যথা ফুসি গেণ গিম্হান মাসে পঠমস্মিং গিমূহে তথূপমং ধম্মবরং অদেসবী নিব্বানগামিং পরমং হিতাব।
ইদম্পি বুদ্ধে রতনং পণীতং, এতেন সচ্চেন সুবথি হোতু। বরো বর এ বরদো বরাহবো অনুগুরো ধম্মবরং অদেসখী, ইদম্পি বুদ্ধে রতনং পণীতং, এতেন সচ্চেন সুবথি হোতু
দ্বীপ পুরাণং নবং নথি সং বিরত্তচিত্তা আযতিকে ভবস্মিং, তে ৰীগৰীজা অবিবুলহিছন্দা নিকান্তি ধীরা যথাযং পদীপো। ইদম্পি সঙ্গে রতনং পণীতং, এতেন সচ্ছেন সুবধি হেতু ।যানীধ ভূতানি সমাগতানি ভূম্মানি যানিব অন্তলিখে, তথাগতং দেবমনুস পুজিতং বুদ্ধং নমস্সাম সুবথি হোতু। যানীধ ভূতানি সমাগতানি ভূম্মানি যানিব অন্তলিখে তথাগতং দেবমনুস পূজিত ধম্মং নমস্সাম সুবখি হোতুং। যানীধ ভূতানি সমাগতানি ভূম্মানি বা যানিব অন্তলিখে, তথাগতং দেবমনুস পূজিতং সঙ্ঘং নমস্সাম সুবথি হোতু।
শব্দার্থ
বিত্তং - রত্ন; তুরং-পরলোক; অগুলিখে - অন্তরীক্ষে, খ্যং ক্ষয়কর; সুবধি - মঙ্গল, পুগ্গল- পুদগল; সমাধিমানন্তরিকঞঞমাত্র সমাধির প্রশংসা ন বিজ্ঞতি বিদ্যমান নেই; যথীন্দখীলো যেমন ইন্দ্রখীল (স্তম্ভ); চতৃভি বাতেভি- চারদিকের বাতাসে; বিচিকিচ্ছা - সংশয়; বনপূপগুদ্ধে কুঞ্জবনে; ফুসিতগে - প্রস্ফুটিত হয়; গিম্হানমাসে গ্রীষ্মকালে বরো শ্রেষ্ঠ; বরঞ্জ - নির্বাণজ্ঞ; বরদো - নির্বাণপ্রদায়ী, বরাহর বরাহরণকারী; বিরতিচিত্তা - আসক্তিহীন; অবিরুলহিচ্ছন্দা - জন্মগ্রহণে বীতস্পৃহ; যানীধ- এখানে যে সকল; এতেন সচ্চেন এ সংবাক্য দ্বারা ধীরা পণ্ডিত ব্যক্তি।
সারমর্ম
পৃথিবীতে কোনটি শ্রেষ্ঠ এবং দুর্লভ রত্ন তাই এ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। ইহলোকে ও পরলোকে যত রত্ন আছে তন্মধ্যে বুদ্ধ রত্নই শ্রেষ্ঠ। বুদ্ধ সমাধির প্রশংসা করেছেন, নির্বাণমৃত পান করেছেন। এ নির্বাণগামী ধর্মরত্নের ন্যায় আর কোনো রত্ন নেই। তথাগত বুদ্ধ ভিক্ষুসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সঙ্ঘ দক্ষিণার যোগ্য। তাঁদেরকে দান দিলে মহাফল হয়। সঙ্ঘরত্নের সমান আর কোনো রত্ন নেই। বুদ্ধ, ধর্ম ও সঙ্ঘের শ্রেষ্ঠত্ব হেতু তাঁদের প্রভাবে মানুষের মঙ্গল হয়।
এ সূত্রে নির্বাণের চমৎকার ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা আছে। যাঁদের পুরাতন কর্ম ক্ষয় হয়েছে, নতুন কর্ম উৎপন্নের কোন সম্ভাবনা নেই, ভবিষ্যতে জন্ম গ্রহণের আসক্তি নেই; যাঁদের ক্ষীণবীজের বৃদ্ধি নেই, যাঁদের জন্ম নিরোধ হয়েছে, সে ব্যক্তিগণ নিতে যাওয়া প্রদীপের ন্যায় নির্বাণ প্রাপ্ত হন।
যাঁরা কামনাহীন, চার আর্যসত্য সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত; যাঁরা তৃষ্ণা, দ্বেষ ও মোহের প্রবল বায়ু দ্বারা
প্রকম্পিত হয় না, যাঁরা চার অপায় থেকে বিমুক্ত; যাঁরা ছয় প্রকার পাপ করতে পারে না; তাঁরাই শ্রাবক সঙ্ঘের সদস্য হওয়ার যোগ্য। যিনি মুক্তিদাতা নির্বাণজ্ঞ; যাঁর রাগ, দ্বেষ, মোহ নেই, তিনিই বৃদ্ধ।করণীয় মেত্ত সুত্তং
ভূমিকা
একদা পাঁচশত ভিক্ষু হিমালয় পর্বতের নিকটে কোন এক পাহাড়ে বর্ষাবাস আরম্ভ করলেন। তাঁরা নিকটস্থ গ্রামে ভিক্ষা করতেন, সুখে কর্মস্থান ভাবনা করতেন। পরিশুদ্ধ জলবায়ু ও সুখাদ্য গ্রহণে তাঁদের স্বাস্থ্য ভাল হল। তাঁরা পরিপূর্ণভাবে ভিক্ষুধর্ম পালন করতে লাগলেন। কিন্তু বৃক্ষদেবতাগণ ভিক্ষুদের শীলতেজে উদ্বিগ্ন হলেন। সে তেজ সহ্য করতে না পেরে তাঁরা আশ্রয় ছেড়ে কখন চলে যাবেন তার অপেক্ষায় রইলেন। এদিকে বর্ষাবাস শেষ না হলে ভিক্ষুগণ চলে যাবেন না। তাই তাঁদের কষ্ট হবে, এ ভেবে যক্ষগণ ভিক্ষুদের ভয় দেখাতে লাগলেন এবং ভয়ানক দুর্গন্ধ ছড়াতে লাগলেন। দুর্গন্ধে ভিক্ষুদের শিরঃপীড়া হল। অতঃপর ভীত ও পীড়িত ভিক্ষুগণ বর্ষাবাস ত্যাগ করে বুদ্ধের নিকট চলে গেলেন। বর্ষাবাসের সময় ভ্রমণে যেতে নেই অথচ বর্ষাবাসের সময় ভিক্ষুদের আগমন দেখে তিনি প্রকৃত কারণ জিজ্ঞেস করলেন। ভিক্ষুগণ তাঁদের দুঃখের কথা জানালেন। বুদ্ধ পূর্বস্থানে গিয়ে ভিক্ষুদের বর্ষাবাসের নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, সেখানেই তাঁদের তৃষ্ণাক্ষয় হবে। অতঃপর ভগবান বুদ্ধ যক্ষভয় থেকে পরিত্রাণের জন্য করণীয় মৈত্রী সূত্র দেশনা করেন।
निमानर
যসানুভাবতো যখা নেব দস্সেস্তি ভিংসন
যহি চেবানুযুঞ্জন্তো রক্তিং দিবমতন্দিতো।
সুখং সুপতি সুত্তো চ পাপং কিঞ্চি ন প সতি এবমাদি গুণপেতং পরিত্তং তং ভণামহে।
করণীযমেশুকুসলেন যন্তং সন্তং পদং অভিসমেচ্চ,
সক্কো উজু চ সুজু চ সুৰচো চস মৃদু অনভিমানী সন্তুসকো চ সুভরো চ অপ্পকিচ্চা চ সলহুকবৃত্তি,
সস্তিন্দ্রিযো চ নিপকো চ অপগবেডা কুলেসু অনুনুগিদ্ধো।
ন চ খুদ্দং সমাচরে কিঞ্চি যেন বিজ্ঞ পরে উপবদেশ,
সুখিনো বা খেমিনো হোণ্ডু সব্বে সত্তা ভবন্তু সুখিতত্ত্বা।
81 যে কেচি পাণভূতথি তসা বা থাবরা বা অনবসো, দীঘা বা যে মহন্তা বা মজঝিমা রসকা অনুকাগুলা। পিঠা বা যে অনিষ্ঠা যে চ দূরে বসস্তি অবিদূরে, ভূতা বা সম্পবেসী বা সব্বে সত্তা ভবন্তু সুখীতত্তা।
ন পরো পরং নিকুদ্ধে নাতিমঞের কথচি নং কিঞ্চি,
ব্যারোসনা পটিঘসঞ্ঞা নাঞঞমঞঞস দুগ্ধমিচ্ছেয্য।
মাতা যথা নিযং পুত্তং আসা একপুত্তমনুরখে,
এবম্পি সঞ্চভূতেসু মানসং ভাববে অপরিমাণং।মেত্তঞ্চ সকলোকসিং মানসং ভাববে অপরিমাণ,
উল্ফং অধো চ তিরিযঞ্চ অসম্বাধং অবেরমসপত্তং । ভিটঠঞ্চরং নিসিন্নো বা সমানো বা যাবত বিগতমিদ্ধো,
এতং সতিং অপিঠেয়া ব্রহ্মমেতং বিহারমিদমাহ্র।
দিঠিঞ্চ অনুপগম্ম সীলবা দসূসনেন সম্পন্নো,
কামেসু বিনয্যগেধং নহি জাতু গর্ভসেষ্যং পুনারেতীতি।
শব্দার্থ
সক্কো - সক্ষম; উজু - সরল; সুজু অতিসরল; বিজ্ঞ- বিজ্ঞগণ; অনভিমানী যিনি অভিমান শূন্য; সুভরো - মিতহারী; জাতু - জন্মগ্রহণ; উপবদেয্যুৎ - নিন্দা; ব্রহ্মমেতং বিহারং - ব্রহ্মবিহার (মৈত্রী; করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষাকে ব্রহ্মবিহার বলে); গর্ভসেযাং- গর্ভাশয়ে, পুনরেতীতি - পুনরায় আসা; মানস ভাববে অপরিমাণং- অপরিমেয় মৈত্রী পোষণ; সব্বে সত্তা ভবন্তু সুখিতত্ত্ব- সকলে সুখি হোক ।
সারমর্ম
এ সূত্রে বুদ্ধের মহামৈত্রীর বিষয়টি উল্লিখিত হয়েছে। বিশ্বের সকল প্রাণীর প্রতি মৈত্রী পরায়ণ হওয়ার আহবান এসেছে। এ সূত্রে বিশ্বের সকল প্রাণীর প্রতি মৈত্রীময় হয়ে তাদের সুখ ও মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। পৃথিবীতে সমস্ত প্রাণী দেখা যায় না, দেখা যায় যারা নিকটে, যারা বড়, যারা ছোট সকলের সুখের জন্য মৈত্রীভাবনা করতে হয়। পরস্পর পরস্পরকে বঞ্চনা করবে না, কেউ কাউকে হিংসাবশত দুঃখ দেবে না। মা যেমন তার একমাত্র পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে তেমনি পৃথিবীর সকল প্রাণীর প্রতি অপরিমেয় মৈত্রী পোষণ করবে। দাঁড়ান অবস্থায়, শয়নে, উপবেশনে এবং নিদ্রা না আসা পর্যন্ত মৈত্রী ভাবনা করবে।
নিধিক সুত্তং
নিধিং নিধেতি পুরিসো গম্ভীরে ওদকস্তিকে,
অথে কিচ্চে সমুপ্পন্নে অথায় যে ভবিস্সতি। রাজতো বা দুরুত্তস চোরতো পীলতস ইণস বা পমোক্খায় দুর্বৃত্তিখে অপদাসু বা, এতদখায় লোকস্মিং নিধি নাম নিধীযতে।
তার সুনিহিতো নিধি গম্ভীরে ওদকস্তিকে, ন সব্বো সাদা এর তস তং উপকপ্পতি। নিধি বা ঠানা চরতি সঞঞাবস বিমুযহতি নাগা বা অপনামেস্তি যথা বাপি হরস্তি ত অপযা বাপি দাযাদা উষ্ণরস্তি অপসূসতো, যথা পুঞঞদ্ধযো হোতি সমেতং বিনস্সতি।যস দানেন সীলেন সঞমেন দমেন চ নিধি সুনিহিতো হোতি ইথিযা পুরিসস বা, চেতিযমূহি চ সঙ্ঘে বা পুগ্গলে অতিথীসু বা, মাতারি পিতরি বাপি অথো জেঠমূহি ভাতরি; এসো নিধি সুনিহিতো অজেয্যো অনুগামিকো, পহায গমনীযেসু এতদামায গচ্ছতি।
অসাধারণএসেং অচোরহরণো নিধি,
কযিরাথ ধীরো পুঞজ্ঞানি যো নিধি অনুগামিকো ।
এসো দেব-মনুসানং সকামদদো নিধি, যং যদেবাভিপথেন্তি সমেতেন লভৃতি।
সুবন্নতা সুসরতা সুসণ্ঠতা, সুরূপতা,
আধিপচ্চং পরিবারো সমেতেনং লভতি।
পদেসরজ্জং ইসরিযং চক্কত্তি সুখং পিয়ং,
দেবরজ্জম্পি দিবেসু সমেতেন লভতি।
মানুসিকা চ সম্পত্তি দেবলোকে চ যা রতি,
যাচ নিকান সম্পত্তি সব্বেমেতেন লভতি।
মিশুসম্পদমাগ যোনিসো বে পযুঞ্জতো,
বিজ্ঞাবিমুত্তিবসীভাবো সমেতেন লভতি।
পটিসম্প্রিদা বিমোক্খা চ যা চ সাবকপারমী, পচ্চেকবোধি বুদ্ধভূমি সব্বমেতেন লভর্তি।
এবং মহিপ্রিয়া এসা যদিদং পুঞঞসম্পদ,
তমা ধীরা পসংসত্তি পণ্ডিতা কতপুঞঞতস্তি।
শব্দার্থ
চৰতি - চ্যুত হয়; ইপস ঋণের; দাযাদা উত্তরাধিকারীরা; অপপযা - অপ্রিয়; সুসষ্ঠান - সুন্দর দেহসৌষ্ঠব;
আধিপচ্চং আধিপত্য; মহিন্ধিয়া মহাঋদ্ধিসম্পন্ন।
অনুগামিকো যা মৃত্যুর পর অনুগমন করে, নিখেতি মাটির নিচে পুতে রাখে; দুরুত্তস - খারাপ লোকেরা বিমুযতি- ভুলে যায়, সুনিহিতো- উত্তমরূপে প্রোথিত।
প্রাচীনকালে মানুষ ভবিষ্যতের অর্থাভাব দূরীকরণে মাটির নিচে ধন পুতে রাখত। কিন্তু এ ধন চোরে চুরি করতে পারে। স্থানচ্যুত হতে পারে, কেউ তুলে নিতে পারে। তাই এ ধন মানুষের উপকারে আসে না। তার অনুগামীও হয় না। আবার যখন পুণ্যক্ষয় হয় তখন ধন বিনষ্ট হয়।
বৌদ্ধধর্ম মতে পুণ্যময় প্রকৃত ধনই মানুষের অনুগামী হয় এবং উপকারে আসে। চৈত্য নির্মাণ, ভিক্ষুসঙ্ঘের সেবা, মাতাপিতা, আত্মীয় ও জ্ঞাতিগণের ভরণপোষণের জন্য অর্থ ব্যয় করে যে পুণ্যধন অর্জন করা হয় তাইপ্রকৃত ধন বা প্রকৃত নিধি। এ নিধি অজেয়, সুনিহিত এবং অনুগামী হয়। এ নিধির প্রভাবে মানুষের দেহ-বর্ণ সুন্দর হয়, সুমিষ্ট হয় কন্ঠস্বর। রাজচক্রবর্তী সুখ, দেবলোকের আনন্দ ও নির্বাণ সম্পত্তি এতে লাভ করা যায়। দান, শীল, সংযম ও ক্ষান্তির দ্বারা অর্জিত পুণ্যধনই সর্ব শ্রেষ্ঠধন বা সর্ব শ্ৰেষ্ঠ নিধি।
তাই পণ্ডিত ব্যক্তিগণ পূণ্য সম্পাদন করাকে প্রশংসা করে থাকেন।
তিরোকুজ্ড সুত্তং
তিরোকুজ্জেসু ভিস্তি সন্ধি- সিক্সাটকেসু চ,
দ্বারবাহাসু ভিস্তি আগতান সকং ঘরং। পঙ্গুতে অনুপানমূহি খচ্ছভোজে উপঠিতে,
ন তেসং কোচি সরতি সত্তানং কম্মপচযা।
এবং দদন্তি জ্ঞাতীনং যে হোস্তি অনুকম্পকা,
সুচিং পণীতং কালেন কপিযং পানভোজনং,
“ইদং বো জ্ঞাতীনং হোতু সুখীতা হোন্ত জ্ঞাতযো”
তে চ তথ সমাগতা জ্ঞাতিপেতা সমাগতা,
পড়ুতে অনুপানামূহি সচ্চং অনুমোদরে ।
চিরং জীবন্ত নো জ্ঞাতী যেসং হেতু লভামসে,
অম্হাকঞ্চ কতা পূজা দাযকা চ অনিপ্ফলা।
নহি তথ কসি অথি গোরখেত্ত ন বিজ্জতি।
বণিজা তাদিসী নথি হিরঞ্জেন ক্যাং,
ইতো দিনেন যাপেন্তি পেতা কালকতা ডহিং।
উন্নমে উদকং বট্টং যথা নিনং পবস্তুতি,
এবমেব ইতো দিনং পেতানং উপকপ্পতি। যথা বারিবহা পুরা পরিপূরেস্তি সাগরং, । এবমেব ইতো দিনং পেতানং উপকপ্পতি।
অদাসি মে অকাসি মে জ্ঞাতিমিত্তা সখা চ মে
পেতানং দক্ষিণং দজ্জা পুব্বে কতং অনুসরং।
নহি রুং বা সোকো বা যাচঞা পরিদেবনা, ন তং পেতানং অথায় এবং তিষ্ঠন্তি ঞাতযো। অযঞ্চ খো দক্ষিণা দিল্লা সঙ্ঘমূহি সুপপটিঠিতো,
দীঘরগুং হিতাযস ঠানসো উপকপ্পতি। সো প্রতিধম্মো চ অযং নিদসিতে, পেতানং পূজা চ কতা উলাৱা, বলঞ্চ ভিনং অনুপদিল্লং, তুমহেহি পঞঞং পঙ্গুতং অল্পকস্তি ।
শব্দার্থ
সিঙ্ঘাটক-চৌকাঠ,সকং ঘরং- নিজের ঘর; সরতি স্মরণ করে, চিরং জীবন্তু- চিরজীবি হোক, পহুত- প্রচুর; কসী - কৃষি; গোরখেত্ত - গোপাল ক্ষেত্র; ক্যাং - ক্রয়বিক্রয়; উন্নমে- উন্নতস্থান, নিম্নং- নিম্নদিক, বারিম্হা - পরিবহণকারী; রণং-রোদন; বলঞ্চ ভিনং-ভিক্ষুদের শক্তি।
সারমর্ম
মানুষ মৃত্যুর পর কর্মফল হেতু বিভিন্ন যোনিতে জন্মগ্রহণ করে। যারা পাপকর্ম করে তারা প্রেতযোনিতে জন্ম নেয়। দুঃখের বিষয়, জ্ঞাতিগণ অনেকেই তাদের স্মরণ করেন না। কিন্তু যারা অনুকম্পাম্পরায়ণ তারা জ্ঞাতিগণের পারলৌকিক সদগতির জন্য দান দক্ষিণা দেয়। কোন উন্নত স্থান থেকে জল যেমন নিম্ন দিকে প্রবাহিত হয় তেমনি ইহলোকে দান দিলে তা প্রেতলোকের উপকারে আসে। যারা প্রেত তারা আমাদের ভাই, জ্ঞাতি, মিত্র এ ভেবে তাদের উদ্দেশ্যে সম্প্রদান দেওয়া উচিত। এরূপ দান দ্বারা জ্ঞাতিগণের পূজা করা হয়; ভিক্ষুদের শক্তিদান করা হয় এবং দাতারও বহুপূণ্য অর্জিত হয়। এ সূত্রে জ্ঞাতিগণের জন্য বৌদ্ধদের করণীয় কর্ম সম্পর্কে বলা হয়েছে।
এর মাধ্যমে মানুষকে পুণ্যকর্ম সম্পাদন করার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে।
আরও দেখুন...